মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

শিক্ষক-ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল ফেসবুকে Sitakunda Live News

 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে নওগাঁর রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটু ও ওই স্কুলের এক ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ।

প্রতিকি ছবি






গত শনিবার (১ মে) ফেসবুকে ভাইরাল হয় ওই ভিডিওটি। পরে এ ঘটনাটিকে নিয়ে এলাকায় শুরু হয় সমালোচনার। স্থানীয়রা ও স্কুল ছাত্রীদের অভিভাবকরা দ্রুত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার বেলোবাড়ি গ্রামের মৃত আসরত আলী মিনার ছেলে সাদেকুল ইসলাম পিটু প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগার হিসাবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই পিটু ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতেন। চলিত বছরে তিনি সহকারী শিক্ষক লাইব্রেরীয়ান ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষক হয়েছেন। এরই মাঝে ওই স্কুলের এক ছাত্রী এবং তার প্রাইভেটের ছাত্রীর সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ বিষয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে মর্মে গত বছর স্থানীয়দের মধ্যে জানা জানি হয়। সেই সময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়। তারপর থেকেই বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি।


তারপর হঠাৎ করে গত শনিবার (১ মে) ফেসবুক এক আইডি থেকে ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডের শিক্ষক-ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল করা হয়। পরে সেই আইডির ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট দেয়া ছবি ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল হয়। এছাড়া ফেসবুকের লাইক পেজ সহ বিভিন্ন পেজ ও আইডি থেকে ভাইরাল হয়েছে ওই ভিডিওটি। বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের মাঝে বইছে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়। এ ঘটনা জানা জানি হলেও অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।


রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।


ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম হোসেন গোল্লা, (রাণীনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়) বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে পরে জানাবো।”


রাণীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, “আমার বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।”


এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, “বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বলা হবে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: